পরাক্রমশালী এক স্রষ্টা প্রেমের কবিতা লিখে যদি জীবনের ইতি ঘটে, তবে চাওয়া -পাওয়ার আর কি আছে! নিবেদিত প্রাণ গেয়ে যায় তাঁর গান, যিনি অসীম মহান। তাঁরই নামে শুরু করেছি একটি ইসলামিক কবিতা সিরিজ। যিনি ভালো কাজে রেখেছেন কল্যাণ।
কবির কবিতা এবং এই অকবির কবিতায় দেখতে পারো অকাশ-পাতাল ব্যবধান। তবে আমার কবিতা আর কবির কবিতা কখনই হবে না সমান! যার হাতে আমার প্রাণ, আমি কেবল লিখে যাই তাঁর গান।
পাপক্ষালন করো মোর অন্তরতর হে!
পাপের মাঝেই বেঁচে আছি প্রভু বহুকাল ধরে
এ আমার দোষ, এ আমার পরাজয় জানি
তবে তোমার কুদরতি পায়ে সিজদায় নত স্বরে
তোমার গুণকীর্তণ করি, আমি পাপী অপমানি।
ক্ষমা চেয়েও শত গোনাহ করি, এ আমার দোষ
তবে কখনোই তোমার সাথে শরিক করিনি কারো
জেনে -নাজেনে রচে গেছে এ আমার পাপকোষ
আমায় ক্ষমা করো প্রভু আমায় ক্ষমা করো।
দুনিয়ার লোভে পড়ে সদা চলেছি গায়ের জোরে
এই হতভাগা অমান্য করে তব আদেশ নিষেধ
তোমার ক্ষমারই চাদরে ঢেকে নাও এ-পাপিরে
প্রভু! তব হুকুমের সাথে আমায় রেখো অভেদ।
জীবনের অনেকটা পথ কেটেছে অবাধ্যতার মাঝে
আজ সকল পাপ থেকে অব্যাহতি নিতে চাই
পরাক্রান্ত হে বর! পাপ থেকে উদ্ধার করো নিজে
আমি জানি, তুমি ছাড়া ক্ষমাকারী কেউ নাই।
শেষ ভরসাই ক্ষমার আশাই তোমার দুয়ারে আজ
মিনতির সাথে লজ্জিত শিরে নত হয়ে গেছি
পাপের জন্য আর মহা-প্রলয়ের দিনে দিওনা লাজ
যতদিন রাখবে ভূলোকে তব বাধ্যতায় যেনো বাঁচি।