সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম (২ রাকাত ও ৪ রাকাত সুন্নত)

সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম
Written by IQRA Bari

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ৫ স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভের নাম নামাজ। নামাজের ৪ টি শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে। তারমধ্যে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল বা মুস্তাহাব ইত্যাদি। নামাজ বিষয়ে বেশ কয়েকটি নিবন্ধ এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ফরজ ও ওয়াজিব নামাজের পরপরই সুন্নত নামাজের স্থান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নত নামাজের প্রতি উম্মতকে অনেক বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ বাদে নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এক মোক্ষম পদ্ধতি হলো সুন্নত।

সুন্নত নামাজের যাবতীয় বিষয়, সুন্নতের গুরুত্ব ও সুন্নত নামাজ সম্পর্কে সাধারণ সকল প্রশ্নের উত্তর এবং সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম বা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কয়েকটি ধাপে নিচে উপস্থাপন করা হলো।

সুন্নত নামাজ কাকে বলে?

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ পড়ার উৎসাহ এবং শিক্ষা দিয়েছেন। যেসব নামাজের জন্য তিনি জোর এবং উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি নিজে গুরুত্বের সাথে আদায় করেছেন, এগুলো সুন্নত নামাজ নামে পরিচিত।

সুন্নত নামাজের গুরুত্ব

সুন্নত নামাজ অবশ্যই গুরুত্বের সাথে পালনীয়। ফরজ নামাজের পূর্বে সুন্নত নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য হলো, মহান আল্লাহর তা’আলার সান্নিধ্যে আরো গভীর ও সুনিবিড় হওয়ার জন্য একাকী দু’চার রাকাত নামাজ আদায় করে অন্তরে আল্লাহর প্রতি আবেগ ও ভক্তি সৃষ্টি করা। এতে ফরজ নামাজে অনেক বেশি একাগ্রতা ও ভক্তি সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুনঃ নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি?

ফরজ নামাজের পরে সুন্নত নামাজের উদ্দেশ্য হলো, ফরজ নামাজ পড়তে যেয়ে যেসব ত্রুটি -বিচ্যুতি হয়ে গেছে, সেগুলো সুন্নত নামাজ দ্বারা পোষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা। তাছাড়া, সুন্নত নামাজ আল্লাহর নৈকট্য লাভে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম

ফরজ নামাজের নিয়মেই সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়। তবে, পার্থক্য শুধু এখানেই – ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতেহার পর কেরাত পড়তে হয় এবং বাকি রাকাত গুলোতে কেরাত পড়তে হয় না। কিন্তু সুন্নত নামাজের প্রতি রাকাতেই সূরা ফাতেহার সাথে কেরাত পড়তে হয়।

সুন্নত নামাজে মূলত ২ রাকাত অথবা ৪ রাকাতে সালাম ফেরাতে হয়। যেমন – ফজরের সুন্নত ২ রাকাত এবং যোহরের সুন্নত ৪ রাকাত। আপনাদের সুবিধার্থে আমি সুন্নত নামাজ পড়ার পদ্ধতি দুটি ভাগে দেখানোর চেষ্টা করেছি। যেমন –

  • দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম
  • চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম

যে কোনো ধরণের সুন্নত নামাজ যেহেতু ২ রাকাত অথবা ৪ রাকাত পড়ে সালাম ফেরাতে হয়, সেহেতেু এই দুটি নিয়ম জানার পর আপনি ফজরের নামাজের সুন্নত থেকে শুরু করে এশার নামাজের সুন্নত পর্যন্ত সকল সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম

দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম জানার পূর্বেই আপনার জানতে হবে কোন কোন ওয়াক্তের নামাজে ২ রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে। তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরের ২ রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজ গুলো আপনি সহজেই পড়তে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নামাজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরের ২ রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজ গুলো হলোঃ – ফজরের ফরজ নামাজের আগে ২ রাকাত সুন্নত। যোহরের ফরজ নামাজের পর ২ রাকাত সুন্নত। মাগরিবের ফরজ নামাজের পর ২ রাকাত সুন্নত এবং এশার ফরজ নামাজের পর ২ রাকাত সুন্নত। ২ রাকাত করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরে মোট ৮ রাকাত সুন্নত।

দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত ওয়াক্ত কেন্দ্রিক পরিবর্তিত হবে। অর্থাৎ, ফজরের সুন্নতের নিয়ত এক রকম এবং যোহরের সুন্নতের নিয়ত আরেক রকম। তবে এখানে খুব বড় পার্থক্য নেই। শুধু ওয়াক্তই পার্থক্যের কারণ। যেমন –

ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ কেবলামূখী হয়ে আমি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

যোহরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ আমি কেবলামূখী হয়ে যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আল্লাহর জন্যে আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ কেবলামূখী হয়ে আমি মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ কেবলামূখী হয়ে এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

আরও পড়ুনঃ নামাজের নিষিদ্ধ সময় সমূহ

দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তে কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ওয়াক্ত বা সময়ের পার্থক্যের জন্য অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। আরবিতে নিয়ত করা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতে নিয়ত করলেও হবে।

যাইহোক, চলুন এবার নেই নিই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়মঃ

  • ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করতে হবে।
  • প্রথমেই ছানা পড়তে হবে।
  • তারপর সূরা ফাতিহা পড়ে “আউযুবিল্লাহ” এবং ”বিসমিল্লাহ” সহ যে কোনো একটি সূরা পাঠ করতে হবে।
  • সূরা পাঠ শেষ হলে ’আল্লাহু আকবার’ বলে রুকু করতে হবে এবং রুকুর তাসবিহ (سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ – সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম) ৩ বার / ৫ বার/ অথবা ৭ বার পাঠ করতে হবে।
  • রুকুর তাসবিহ পড়া শেষ হলে ’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং দাঁড়িয়ে (اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد ) ’আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ’ একবার পাঠ করতে হবে।
  • তারপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে সিজদায় যেতে হবে এবং সিজদার তাসবিহ (سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى) ’সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’ ৩ বার / ৫ বার/ অথবা ৭ বার পাঠ করতে হবে।
  • অতঃপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে সোজা হয়ে বসতে হবে। একটু সময় বসুন এবং পুণরায় ’আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় সিজদায় যান এবং সিজদার তাসবিহ পাঠ করুন।
  • দ্বিতীয় সিজদা সম্পূর্ণ হলে ’আল্লাহু আকবার’ বলে দাঁড়িয়ে যান এবং ”বিসমিল্লাহ” সহ সূরা ফাতিহা পাঠ করুন।
  • সূরা ফাতিহা পাঠ করে পুণরায় ”বিসমিল্লাহ” সহ যে কোনো একটি সূরা পাঠ করুন।
  • সূরা পাঠ হয়ে গেলে রুকুতে যান এবং রুকুর তাসবিহ পাঠ করুন।
  • রুকু শেষ হলে পুণরায় ’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং তাসবিহ পাঠ করুন।
  • তারপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে সিজদা করুন এবং সিজদার তাসবিহ পাঠ করুন, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে বসুন এবং পুণরায় সিজদা করুন এবং সিজদার তাসবিহ পাঠ করুন।
  • সিজদা সম্পূর্ণ হলে ’আল্লাহু আকবার’ বসুন এবং “আত্তাহিয়্যাতু (তাশাহুদ), দরূদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা” পড়ুন।
  • পড়া শেষ হলে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামাজ শেষ করুন।

আরও পড়ুনঃ সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম কানুন

মাশাআল্লাহ! আপনি যদি এই নিয়মটি ফলো করেন, তবে যে কোনো ওয়াক্তের সুন্নত নামাজ পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ। বি. দ্র. : যে কোনো ধরণের ২ রাকাত ফরজ, মুস্তাহাব বা নফল নামাজ ঐ একই নিয়মে পড়তে পারবেন।

৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম

আবারো আপনাদের সুবিধার্থে চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম জানার পূর্বেই বলে নিই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ৪ রাকাত বিশিষ্ট সকল সুন্নত নামাজ সম্পর্কে। তাহলে ৪ রাকাত বিশিষ্ট সকল সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম বুঝতে সহজ হবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরের ৪ রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজ গুলো হলোঃ – যোহরের ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত। আসরের ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত এবং এশার ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত। ৪ রাকাত করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে মোট ১২ রাকাত সুন্নত।

চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

পূর্বের মতই ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তেও ওয়াক্ত কেন্দ্রিক পরিবর্তিত হবে। অর্থাৎ, যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত এবং আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। তবে এখানেও শুধুমাত্র ওয়াক্তই পার্থক্যের কারণ। যেমন –

আরও পড়ুনঃ নামাজের মুস্তাহাব সমূহ

যোহরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ কেবলামূখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আমি যোহরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

আসরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ কেবলামূখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমি আসরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তঃ আমি কেবলামূখী হয়ে একমাত্র আল্লাহর জন্যই এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

২ রাকাত সুন্নত নামাজের মতই ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়তেও তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র সংখ্যা উল্লেখ করলেই হবে। আরবিতে নিয়ত করা অপরিহার্য নয়। বাংলা নিয়তেই নামাজ শুদ্ধ হবে।

যাইহোক, চলুন এবার নেই নিই চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়মঃ

  • পূর্বে উল্লেখ করা দুই রাকাত সুন্নত নামাজের প্রথম দুই রাকাত ৪ রাকাত সুন্নত নামাজেও ফলো করতে হবে। অর্থাৎ, দুই রাকাত সুন্নতের দ্বিতীয় রাকাতের সিজদা শেষ করে বৈঠকে বা বসা অবস্থায় শুধুমাত্র “আত্তাহিয়্যাতু (তাশাহুদ) পড়ে তৃতীয় রাকাতের জন্য ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
  • তারপর প্রথম দুই রাকাতের মতই বাকি তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত সম্পূর্ণ করুন।
  • চতুর্থ রাকাত সম্পূর্ণ হলে বৈঠকে বা বসা অবস্থায় “আত্তাহিয়্যাতু (তাশাহুদ), দরূদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা” পড়ুন।
  • তারপর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।

উপরোল্লিখিত নিয়মেই ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম ও কিছু কথা

ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে আমরা সকলেই জানি, ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাতেই শুধুমাত্র সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হয়। কিন্তু সুন্নত নামাজের প্রতি রাকাতেরই সূরা ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলাতে হবে। ফরজ ও সুন্নত নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে এতটুকুই পার্থক্য।

আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে কি হয়?

আমাদের অনেক দ্বীনি ভাই-বোন সুন্নত নামাজ সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে জানতে চান। যেমন ৪ রাকাতের ক্ষেত্রে – যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম বা আসরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম। আবার ২ রাকাতের ক্ষেত্রে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম বা মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম ইত্যাদি।

যারা এভাবে প্রশ্ন করেন, তাদের প্রতি আমি মনের গভীর থেকে ভালোবাসা জানাই। তবে আপনি যদি একটু চিন্তা করেন তবে দেখবেন যে, আপনি যদি ফজরের ২ রাকাত সুন্নত পড়তে পারেন, তবে যে কোনো ওয়াক্তের ২ রাকাত সুন্নত আপনার জন্য পড়া খুবই সহজ।

ঠিক এভাবেই আপনি যদি যোহরের ৪ রাকাত সুন্নত পড়তে পারেন, তবে যে কোনো ওয়াক্তের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আপনি অবশ্যই পড়তে পারবেন। কারণ, সুন্নত নামাজে কোনো প্রকার আলাদা আলাদা নিয়ম নেই। একই নিয়মে সকল সুন্নত নামাজ পড়া হয়।

আবার সুন্নত নামাজে এমন একটি নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, আপনি যে কোনো নফল বা মুস্তাহাব নামাজ ঐ একই নিয়মে পড়তে পারবেন। নফল বা মুস্তাহাব নামাজের প্রতি রাকাতে সুন্নতের মতই সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হয়।

আরও পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, ফজিলত ও সময়

যাইহোক, আশাকরি আপনারা এই আর্টিকেল থেকে সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি কোনো প্রশ্ন করে তবে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো। –

সচারাচর প্রশ্নঃ

প্রশ্নঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে কি হয়?

উত্তরঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে নিজেরই ক্ষতি। অনেক সওয়াব থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হয়।

প্রশ্নঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে?

উত্তরঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে না। তবে এগুলো ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। রাসূল (সা.) সুন্নত নামাজ পড়ার প্রতি গভীর ভাবে তাকিদ দিয়েছেন। সুতরাং, মুমিনদের উচিত অবশ্যই রাসূলের সুন্নতকে আখড়ে ধরা।

প্রশ্নঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে কি শাস্তি হবে?

উত্তরঃ সুন্নত নামাজ না পড়লে যেহেতু গুনাহ হবে না, সেহেতু সুন্নত নামাজ ছেড়ে দিলেও শাস্তি হবে না। কিন্তু সুন্নতকে অস্বীকার করা যাবে না। আবার সুন্নত নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।

প্রশ্নঃ আজানের আগে সুন্নাত নামাজ পড়া যাবে কি?

উত্তরঃ নামাজের ওয়াক্ত যদি হয়ে যায়, তবে আজানের আগেও সুন্নাত নামাজ পড়া যাবে।

পরিশেষে মহান আল্লাহ এই আর্টিকেলের ভুলত্রুটি মার্জনা করে আমাকে এবং আমাদের সবাইকে সুন্নত নামাজ বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন। (ভুল অবশ্যই পরিবর্তনীয়, অবএব, ভুল দেখতে পেলে আমাদের অবগত করুন!)

Leave a Comment

error: Content is protected !!