নামাজের মুস্তাহাব সমূহ

নামাজের মুস্তাহাব সমূহ
Written by IQRA Bari

নামাজ মুমিন বান্দার জন্য মেরাজ স্বরূপ। এই কথাটির তাৎপর্য অনেক গভীর। নামাজ তখনই মেরাজ বলে গণ্য হবে যখন নামাজকে যথাযথাভাবে আদায় করা হয়। একটি নামাজ ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব আমলের মধ্যদিয়ে পূর্ণতা পায়। ধারাবাহিকভাবে আমরা নামাজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নামাজের মুস্তাহাব সমূহ নিয়ে আলোচনা করেছি।

প্রত্যেক নামাজিদের উচিত নামাজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত গুলো আদায়ের পাশাপাশি মুস্তাহাব আমল গুলোকেও আখড়ে ধরা।

মানদুব, আদব বা মুস্তাহাব একই অর্থ প্রকাশ করে। অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই কাজ গুলো করেছেন, কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে সর্বদা করেননি, এমন আমলগুলোকেই মুস্তাহাব বলা হয়। নামাজে যে কাজগুলো মুস্তাহাব তা নিচে তুলে ধরা হলো। –

নামাজের মুস্তাহাব সমূহ

(১) ঠাণ্ডা প্রভৃতি কোনো ওযর না থাকলে পুরুষের জন্য চাদর, হাতা প্রভৃতি থেকে হাত বের করে তাকরিরে তাহরিমা বলা মুস্তাহাব। আর মহিলাদের জন্য চাদর বা ওড়না প্রভৃতির ভেতর থেকে হাত বের না করে অর্থাৎ, হাত ঢাকা অবস্থায় তাকরিরে তাহরিমা বলা মুস্তাহাব। -(মারাকিল ফালাহ)

আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত

(২) নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় চোখের দৃষ্টি সিজদার স্থানে, রুকুতে পায়ের পাতায়, সেজদায় নাকে, বৈঠকে রানে এবং সালাম ফেরানোর সময় কাঁধের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা, প্রত্যেক সালাম শেষে ঘাড়কে স্বাভাবিক করে চেহারা কিবলামূখী করা মুস্তাহাব। -(দুররে মুখতার)

(৩) নামাজে যথাসম্ভব কাশি, হাঁচি, হাই প্রভৃতি দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা মুস্তাহাব। -(মারাকিল ফালাহ, দুররে মুখতার)

(৪) নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় হাই উঠলে ডান হাতের পিঠ এবং অন্য অবস্থায় বাম হাতের পিঠ মুখের উপর রাখা মুস্তাহাব।

(৫) নামাজের ইকামতে قَدْ قَامَتِ الصَّلَوة (ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ) বলার সময় ইমামের জন্য তাকরিরে তাহরিমা বলা মুস্তাহাব।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক, নামাজের মুস্তাহাব আমল সমূহ গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি এই আমল গুলো করার মাধ্যমে আপনার নামাজে আরো বেশি তৃপ্তি আসবে ইনশাআল্লাহ।

মহান আল্লাহ আমাকে এবং আমাদের সবাইকেই সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!