সৃষ্টির মধ্যে কে আছে এমন যে স্রষ্টার গুণকীর্তন করে না! যে করে না সে নিঃসন্দেহে কৃপণ! মানুষের মধ্যে তারাই শ্রেষ্ঠ যারা স্রষ্টার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ইসলামী কবিতা তো স্রষ্টার মহত্ব প্রকাশের একটি মাধ্যম। যারা ইসলামি কবিতা পাঠ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
চলুন স্রষ্টা প্রেমের কবিতা দিয়ে আমাদের হৃদয়কে উজ্জ্বীবিত করি।
প্রভুর প্রেমে -ইসলামি কবিতা ১
হিজল বনে কূজন শুনি
বিষম সুধা চমৎকার,
ঝিল্লিমুখর কানে কানে
ভজন করে সম্প্রচার।
মুক্তপ্রাণে জাগায় তারা
প্রভুর প্রেমের নিত্যকার,
তাঁর পথে চললে সদাই
দিবেন মোদের পুরুস্কার।
তাঁর দয়াতে শ্যাম দুনিয়া
হয় যে মরু -অন্ধকার,
দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন
সব কিছু তাঁর উপচার।
ভোর বেলাতে ঊষার আলো
প্রসার করে চতুর্দ্বার,
প্রভুর প্রেমে মুগ্ধ হৃদয়
হয় যে সদা হয় উদার।
রচনা: ২৯-১১-১৩ ইং
ক্ষমা চাও -ইসলামী কবিতা ২
হে নামাজি আজান শুনে
মসজিদেতে যাও,
মুয়াজ্জিনের আহবানে
হর্ষে সাড়া দাও।
নক্তে তুমি উঠো জেগে
সুবহে সাদিকের আগে,
জায়নামাজে দাড়িয়ে
খোদার মদদ চাও।
দু’হাত তুলে কোরান খুলে
পড় আয়াত হৃদয় খুলে,
খোদার পানে উদার মনে
ভজন গীতি গাও।
নরকেরই দহন শিখা
নিরঞ্জনে ভাবো একা,
ডর-ভয়, ত্রাস-ভীতি এলে
ভুল গুলো শুধরাও।
ওহে যত বে-নামাজি-
খোদার কাছে ক্ষমা চাও।
রচনা: ০৬-০৯-১৫ ইং।
আল্লাহ মহান -ইসলামী কবিতা ৩
কৃত্রিম ভূলোকে
আছো ভুলে প্রভুকে,
দাওনা সাড়া একবার
তবেই পাবে খোদার দিদার।
কূজনের কলগান
বলে তারা সে মহান-
যার হাতে সৃষ্টি
শ্যামল এ জাহান।
আজানের ধ্বনীতে
জাগে মোর শোণিতে,
দিন-রাতে পাঁচবার
করে আহবান।
ভূধরের নির্জনে
পাথারের গর্জনে
শুনি সবি তাঁর গান-
আল্লাহ মহান।
রচনা: ৩০-১১-১৩ ইং
অনুজ আমি -ইসলামী কবিতা ৪
খোদা তোমার লিলা খেলা
কিছুই বুঝিনা,
অনুজ আমি এই ভূলোকে
আমার সবই অজানা।
তুমি কাউকে রাখো বিপণ্যতে
কাউকে সুখের পাথার,
তুমি কাউকে রাখো পরিতাপে
কাউকে অনাহার।
তুমি কাউকে কর অল্পভাষী
কাউকে বোবা, কানা,
তুমি কাউকে রাখো ফুল বিছানায়
দাও কাউকে লাঞ্ছনা।
এই পৃথীবি তোমার গড়া
তুমিই রহমান,
কবুল কর এই অধমের-
জীবন ক্ষুদ্র প্রাণ।
রচনা: ১০-০৯-১৪ ইং
নেফাক ব্যাধি -ইসলামী কবিতা
আমারে যিনি অতি আদরে
গড়িয়াছে এধর
আমিতো তাহারে ভুলিয়া গিয়েছি
করিয়া দিয়েছি পর।
তবুও আমারে যতন করিয়া
রাখিয়াছে নীরোগ
বেহুঁশ হইয়া মাতিয়া আছি
রঙ্গে দুনিয়া ভোগ।
আমারে আমি চিনিনি আজও
ভূমের মোহে পড়ে
নেফাক ব্যাধি বাড়িয়া চলেছে
হৃদয় আত্মাজুড়ে।
কখন জানিরে এসে যায় ঐ
মরণের সংবাদ
ভুলে যাবে সবে, চিড়ে যাবে শত
মায়া-মমতার বাঁধ।
(এই কবিতাটি সাধু ভাষায় লেখা )
ইসলামি কবিতা নিয়ে কথাঃ
কবিরা পদ্য লিখে। লেখকেরা লিখে যায় গদ্য। আমি তো কোন কবি-লেখক নই, কী লিখবো আমি, আমার কী পরিচয়? আমি জানি তোমার কাছে এই অকবির কবিতা পৌঁছাবেনা। তবে হৃদয়ের আবেগ আর অনুভূতি গুলো তোমার নিশ্চয় প্রিয়।
তুমি যদি যেই আবেগ আর অনুভূতিকে গ্রহণ কর, তবে আমার পরিশ্রম সফল। আমি ধন্য।
আরো কবিতা পড়ুনঃ