অণু ও পরমাণুর ধারণা কুরআনে পাওয়া যায়

অণু ও পরমাণুর ধারণা কুরআনে পাওয়া যায়
Written by IQRA Bari

অণু ও পরমাণু : ’অণু’ খুবই ছোট্ট একটি বস্তু। যা খালি চোখে দেখা যায় না। অণুকে দেখতে হলে অণুবিক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অণুতত্ত্ব সম্পর্কে ২৩০০ বছর আগে সর্বপ্রথম ধারণা দেয় প্রাচীন গ্রিসের বিখ্যাত পরমাণুবাদী ডেমোক্রিটাস।

ডেমোক্রিটাস ও তার পরবর্তী যুগের লোকেরা মনে করতে যে, বস্তুর সর্বাধিক ক্ষুদ্র একক হলো অণু। তখন তাদের ধারণা ছিল অণুর চেয়ে ছোট আর কোনো বস্তু নেই। ডেমোক্রিটাস অণুতত্ত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন বই লিখেছেন।

অণু হলো পদার্থ বিজ্ঞানের একটি বিশেষ অংশ। শতাব্দির পর শতাব্দিকাল ধরে ডেমোক্রিটাস-এর দেওয়া ভুল তথ্যের উপর মানুষ বিশ্বাসী ছিল। বিংশ শতাব্দিতে এসে পদার্থ বিজ্ঞানীরা ডেমোক্রিটাস ও তার পরবর্তী যুগের লোকদের ধারণার ভুল প্রমাণ করেছে।

পদার্থ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় অণুর চেয়ে ক্ষুদ্র বস্তুর অস্তিত্বের আবিষ্কার হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে পরমাণু।

আরও পড়ুনঃ সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত

অণু পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য হলো, পরমাণু বস্তুটি এতই ছোট যে, এর চেয়ে ক্ষুদ্র আর কোন বস্তু নেই। একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি অণু সৃষ্টি হয়।

অণু -পরমাণুর বিষয়টা বিগ ব্যাং তত্ত্বের সাথেও সাদৃশ্যতা রাখে।

১৫০০ বছর আগেই ’অণু ও পরমাণুর’ ধারণা দিয়েছে কুরআন!

ডেমোক্রিটাস-এর ধারণা ছিল অণুর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন বস্তু নেই। ২৩০০ বছর ধরে সমাজের মানুষের বিশ্বাসের সাথে মিলিত এই তথ্যটি মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সাথে মিলে না। কেননা, পরাক্রমশালী আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে অণুর চেয়ে ক্ষুদ্র বস্তুর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

যেমন: সূরা সাবা-এর ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে : ”যিনি অদৃশ্য সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু-পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচরে নয়; ওর প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ।

অনুরূপভাবে সূরা ইউনুস-এর ৬১ নং আয়াতে বলা হয়েছে  : আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অণুপরিমাণ তোমার প্রতিপালকের অগোচর নয় এবং এ অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর অথবা বৃহত্তর কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট গ্রন্থে (লিপিবদ্ধ) নেই।

ক্ষুদ্র কোন বস্তুকে ’অণু’ বলা হয় । ক্ষুদ্র অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর কোন বস্তুকে ‘পরমাণু’ বলা হয়। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এই দুইটি আয়তই একই অর্থের দিকে ইঙ্গিত করেছে।

বুঝার বিষয় হলো ১৫০০ বছর আগেই সুস্পষ্টভাবে ”অণু -পরমাণুর” বিষয়টা কুরআনে উল্লেখ ছিল। অথচ, বিংশ শতাব্দির আগেও ডেমোক্রিটাস-এর দেওয়া তথ্যের উপর মানুষ বিশ্বাসী ছিল।

আরও পড়ুনঃ শুক্রবারের আমল ও ফজিলত

আধুনিক বিজ্ঞান যতই ডেভেলপ হচ্ছে, কুরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো ততই অবাক করছে। গোটা মানব সভ্যতার মাঝে দিন দিন কুরআনের অলৌকিকত্ব সুস্পষ্ট ভাবেই প্রকাশ পাচ্ছে।

শেষ কথাঃ

অণুতত্ত্বের উপর গবেষণায় পরমাণুর আবিষ্কার বিংশ শতাব্দির পদার্থবিদদের একটি উজ্জল সফলতাও বটে। কুরআন (Quran) শুধুমাত্র একটি কিতাবই নয়; এর মধ্যে রয়েছে হিদায়েত, জ্ঞান ও রোগের মুক্তি।

যারা মনে করেন, বিজ্ঞান কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক তারা এখনো অনেক দূরে পড়ে আছেন। স্রষ্টার কুরআন যে কত বিজ্ঞানময় তার ওপর আমরা নিয়মিত গবেষাণা ভিত্তিক আর্টিকেল প্রকাশ করছি।

কুরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্য গুলো পেতে আমাদের পাশেই থাকুন। অণু ও পরমাণু বিষয়ে যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!