মানুষের ইতিহাস: পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম মানব হযরত আদম (আ.)। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর একজন নবী । তাঁর সহধর্মীনী চিলেন হযরত হাওয়া। অর্থাৎ আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা হযরত হাওয়া। আমরা তাদেরই সন্তান।
হযরত আদম আ. ও নূহ আ. এর মাঝে ১২০০ বছর এর ব্যবধান ছিল। আর নূহ আ. থেকে ইব্রাহীম আ. পর্যন্ত ১১৪২ বছর ব্যবধান, ইব্রাহীম আ. থেকে মূসা আ. পর্যন্ত ৫৬৫ বছর ব্যবধান, মূসা আ. থেকে দাঊদ আ. পর্যন্ত ৫৬৯ বছর ব্যবধান, দাঊদ আ. থেকে ঈসা আ. পর্যন্ত ১৩৫৬ বছর ব্যবধান এবং ঈসা আ. থেকে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ স. পর্যন্ত ৬০০ বছর ব্যবধান ছিল।
এ হিসেবে হযরত আদম আ. থেকে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. পর্যন্ত ৫০৩২ বছরের ব্যবধান। আর প্রসিদ্ধ বর্ণনা মোতাবেক হযরত আদম আ. জীবিত ছিলেন ৯৬০ বছর।
এ কারণে দুনিয়ায় আহরত আদম আ. এর আগমনের প্রায় ছয় হাজার বছর পরে অর্থাৎ সপ্তম সহস্রাব্দে খাতেমুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ সা. পৃথিবীতে আগমন করেন। তথ্যসূত্র: [ তারীখে ইবনে আসাকির- মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাস রচিত, প্রথম খন্ড ১৯-২০]
মোট কথা যে বছর হস্তিবাহিনীর আক্রমণ হয়েছিল ঐ বছরের ববিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার দিনটি বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য দিন।
কেননা ঐ দিনেটিতেই বিশ্ব সৃষ্টির মূল লক্ষ্য, দিন রাত পরিক্রমের মূখ্যে উদ্দেশ্য, আদম সন্তানের গেীরব, হযরত নূহ আ. এর কিস্তি সংরক্ষণের তত্ব, হযরত ইব্রাহীম আ. এর আরাধ্য, হযরত মূসা ও ঈসা আ. এর ভবিষ্যৎবাণীর উদ্দীষ্ট পুরুষ তথা আমাদের আকায়ে নামদার হযরতে রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিশ্বকে আলোকিত করেন।
এক দিকে পৃথিবীর দেবালয়ে নবুয়্যাত রবির আবির্ভাব হল। অপর দিকে পারস্য সম্রাজ্যের রাজ প্রসাদে কম্পন সৃষ্টি হল। যাতে তার চেীদ্দশ গম্বুজ ভেঙে ভূপাতিত হল। পারস্যের শ্বেত উপসাগর নিমিষে শুষ্ক হয়ে গেল।
সহস্র বছর যাবৎ প্রজ্জ্বলিত অগ্নি কুন্ডলী যা কখনই নির্বাপিত হয়নি হঠাৎ এমনিতেই শীতল হয়ে গেল। তথ্য: [ সীরাতে মোগলতাঈ, পৃষ্ঠা ০৫]
বস্তুতঃ এ সবই ছিল অগ্নি পূজা ও বিভিন্ন গোমরাহীর পরিসমাপ্তির ঘোষণা এবং রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের ইঙ্গিত স্বরূপ।
মূল লেখক: হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফী’র