বিপদের দোয়া: আমরা আদম সন্তান সবাই গুনাহগার। নবী-রাসূল ব্যতীত নিষ্পাপ নয় কেহই। আমাদের কর্মই আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনের পূজী।
যেই পূজী নিয়ে অনন্তকাল জীবনের অভিমুখে রওনা হবো। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই ভুল করি।
আর ভুল থেকেই পাপের জন্ম। যা অনেকেই বুঝতে পারি আবার অনেকেই বুঝতে পারি না।
কোনো ভুলই ছোট করে দেখা যাবে না। ছোট্ট একটা ভুলই মুমিন বান্দাকে সচেতন করে তোলে। আর পাপিষ্ঠ অপরাধীদের কে অন্ধ করে দেয়।
এজন্য এমন নয় যে, মানুষ ভুল করবে না। মানুষ পৃথিবীতে আসা ভুলের জন্যই! মহান আল্লাহ আমাদেরকে ফেরেশতা হিসেবে সৃষ্টি করেননি।
তবে ফেরেশতা অধিক আমাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ.) ভুল করার জন্যই বেহেশ্ত থেকে আমাদের পৃথিবীতে আসা।
ভুল করে তিনি বসে থাকেননি; পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। অথচ, তিনি পাপ করেননি। কিন্তু আমরা হাজার ভুলের মাঝেই আবার পাপ করে ফেলি। তবুও স্বীকার করি না।
একজন মুসলমান কখনই ভুল করে বসে থাকে না। ভুল করার পাশাপাশি ভুলটাকে স্বীকার করে শোধরে নেয়।
ভুল থেকে যদি পাপের সৃষ্টি হয়, তবে তারা তাওবা, ইস্তিগফার করে নিজেকে সংশোধন করে নেয়। ভুল করে যারা স্বীকার করে শোধরে নেয়, তারাই সফলকাম। আর তারাই মুমিন।
ভুল এমন একটি পদার্থ, যা জীবনের চতুরপাশে মিশে আছে। দুনিয়াতে যত বিপদ আসে সবই আমাদের ভুল বা পাপের কারণেই আসে। অনেক সময় এক বা একাধিক মানুষের ভুল বা পাপের কারণে গোটা সমাজকে কাঁদতে হয়, পাপের মাশুল দিতে হয়।
চলমান সংকট করোনা মহামারি এবং পঙ্গপালের ধাওয়া, এসবই আমাদের কৃতকর্মেরই ফসল। আমরা অধিকতর সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছি। যার কারণে এ-বিপদগুলো মহান আল্লাহর পক্ষ হতে নেমে এসেছে।
তাই অবশ্যই যথাসময়েই তাওবা, ইস্তিগফার করা উচিৎ। এখনও করোনা মহামারি এবং পঙ্গপালের ধাওয়া তেমন ভয়াবহ হয়নি।
তাই আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মহান আল্লাহর কাছে মাথা নত করে তাওবা, ইস্তিগফার করে ক্ষমা প্রার্থনা করি।
তবেই আমরা এই সংকট থেকে উদ্ধার হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন। সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন
পড়ার সাজেশনঃ
► আরবিল নামক এক অত্যাচারি মহিলা