নামাজের নিষিদ্ধ সময়: ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ হলো নামাজ। নামাজ একটি ফরজ ইবাদত। এই ইবাদতের মাধ্যমে স্রষ্টার আনুগত্য প্রকাশ হয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন খুব সহজেই করা যায়।
আমরা সকলেই জানি, নামাজ অনেক সওয়াবের কাজও বটে। তবে নামাজ শুধু আদায় করলেই হবে না। ইসলামের বিধি-বিধান অনুসারেই নামাজ আদায় করতে হবে। দিন-রাতে এমন কিছু সময় রয়েছে, যেই সময়গুলোতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ বা হারাম করা হয়েছে।
আপনি যদি নামাজের এই নিষিদ্ধ সময় গুলো সম্পর্কে না জানেন, তবে আপনিও হয়ত কোনদিন সেই নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়ে গোনাহগার হতে পারেন। তাই নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা জরুরি।
আরও পড়ুনঃ নামাজে একই সূরা দুই রাকাতে পড়ার মাসআলা
নামাজের নিষিদ্ধ সময়
হাদিস থেকে আমরা তিনটি সময় সম্পর্কে জানতে পারি, যখন নামাজ পড়া হারাম বা নিষিদ্ধ। নিচে তা তুলে ধরা হলোঃ
(১) সূর্যদয়কাল থেকে সূর্য উপরে উঠা এবং হলুদ আভা কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
(২) ঠিক দুপরে, সূর্য হেলে পড়া পর্যন্ত।
(৩) সূর্যাস্তের সময়, সূর্য হলুদ এবং হলুদ রং ধারন থেকে ডোবা পর্যন্ত।
মাসআলা: এই তিন সময়ে কাযা, নফল কোনো নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই।
আরো তিনটি সময় এমন আছে, যখন কোনো নফল নামাজ জায়েজ নেই।
(১) সুবহে সাদেকের পরে ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামাজ জায়েজ নেই।
(২) ফজরের নামাজ পড়ার পর থেকে সূর্যদয় পর্যন্ত।
(৩) আসরের নামাজ পড়ার পর থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত।
মাসআলাঃ তবে এই সময়ে কাযা নামাজ এবং সিজদায়ে তিলাওয়াত জায়েজ।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত
উপরোক্ত তিন সময়ে নফল, তাহিয়্যাতুল মসজিদ, তাহিয়্যাতুল ওজু, তাওয়াফের দু’রাকাত প্রভৃতি নামাজ পড়া নিষেধ। কিন্তু কাযা নামাজ জায়েজ। তবে এ সময়ে কাযা নামাজ জনসম্মূখে না পড়ে একাকী নির্জনে পড়া জরুরি। ( আপকে মাসায়েল : ৩/৩৫৪)
মাসআলা: কারো জিম্মায় কাযা নামাজ থাকলে, নফল নামাজ পড়ার চেয়ে কাযা নামাজ আদায় করাই উত্তম। শবে বরাত, শবে কদর, যখনই হোক। (আপকে মাসায়েল: ৩/৩৬৫)
আমরা মানুষ, আমাদেরকে নামাজ থেকে গাফেল রাখা এবং পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তান সবসময়ই কুমন্ত্রণা দিয়ে যায়। এভাবে আমাদের অনেক ফরজ নামাজ কাযা হয়ে যায়।
এটা সত্যিই গোনাহের কাজ। হে পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ! আমাদের জীবনের সকল কাযা নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমাদের ক্ষমা করুন!