আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ | আয়াতুল কুরসি পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত। সূরা বাকারা হলো কুরআনের সবচেয়ে বৃহত্তম সূরা, যারা আয়াত সংখ্যা ২৮৬।
নূরানী হাফেজী কুরআনের বিন্যাস অনুযায়ী এই সূরাটি কুরআনের প্রথম পারার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে তৃতীয় পারার ৮ নং পৃষ্ঠায় সমাপ্ত হয়েছে।
আয়াতুল করসি তৃতীয় পারার প্রথম পৃষ্ঠায় অবস্থিত। এটি একটি আয়াতেই সীমাবদ্ধ। বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরামের মতে আয়াতুল কুরসি হলো কুরআনের সবচেয়ে মহিমান্বিত আয়াত। তাছাড়া এই আয়াতটি শ্রেষ্ঠ হওয়ার ব্যাপারে হাদিস থেকে বর্ণনা পাওয়া যায়।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
আমাদের বাংলা ভাষাভাষীদের প্রায় মানুষই আরবি ভাষা বলতে পারি না।
তাই আয়াতুল কুরসি শেখার আগ্রহ থাকলেও অনেকেই শিখতে পারি না। এজন্যই আজ আমরা আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
আয়াতুল কুরসির মূল ম্যাসেজ
আয়াতুল কুরসি এই আয়াতের মাধ্যমে পরাক্রমশালী আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন এবং স্রষ্টা হিসেবে তাঁর আরশ বা সিংহাসন কত বড় তার বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুনঃ সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
তাছাড়া তিনি একক ক্ষমতার অধিকারী ও সবকিছুর ধারক হিসেবে মহাবিশ্বের সকল জ্ঞান তাঁর জ্ঞানসীমায় রেখেছেন।
এটাই মূলত আয়াতুল কুরসির মূল ম্যাসেজ। চলুন আমরা আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ জেনে নিই।
আয়াতুল কুরসি আরবি
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি
দৃষ্টি আকর্ষণঃ প্রিয় পাঠক! কুরআনের ভাষা আরবি। আরবি ভাষাকে বাংলা বর্ণ দিয়ে উচ্চারণ করলে কোন ভাবেই শতভাগ শুদ্ধ হবে না।
তাছাড়া কুরআনের আয়াতসমূহ এমন, কোন আয়াতের ‘যবর’ এর জায়গায় ’যের’ বা ‘পেশ’ এর উচ্চারণ করলে আয়াতের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। এতে নিঃসন্দেহে গুনাহগার হতে হবে।
তাই আমি সবাইকে সুপারিশ করি, আপনি যথাসাধ্য আপনার নিকটস্ত কোন আলেমের শরণাপন্ন হন! তবে আশা করা যায় আপনি শুদ্ধরূপে আয়াতুল কুরসি শিখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ
আয়াতুল কুরসি নিয়ে সচারাচর প্রশ্নসমূহঃ
(১) প্রশ্নঃ আয়াতুল কুরসি কোন সূরার কত নম্বর আয়াত?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসি হলো কুরআনের দ্বিতীয় নম্বর সূরা, সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত।
(২) প্রশ্নঃ আয়াতুল কুরসি সূরার নাম কি?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসি কোন সূরা নয়। এটি সূরা বাকারার একটি আয়াত।
(৩) প্রশ্নঃ আয়াতুল কুরসি দোয়া নাকি সূরা?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসি কোন দোয়ার অংশ নয়। এটি পবিত্র কুরআনের একটি মহিমান্বিত আয়াত।
আমাদের কথাঃ
আপনার যদি আরবি ভাষার সামান্য জ্ঞান থাকে, তবে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ দেখেও আপনি এই মহিমান্বিত আয়াতটি পড়তে পারবেন। তবে যারা আরবি বুঝেন না তারা আরবি শেখার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন। কুরআন হলো পরাক্রমাশালী মহান আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ। এই কুরআন মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশক এবং সত্য-মিথ্যার মাঝে ব্যবধানকারী।
একজন মুসলমান হিসেবে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত আয়াতুল কুরসি শুদ্ধরূপে পাঠ করতে পারবো না, এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবেই হোক আপনি ঐশী কুরআনের এই আয়াতটি শিক্ষা করুন।
আরও পড়ুনঃ ১০টি নতুন ইসলামী গজলের লিরিক্স
এই ঐশী গ্রন্থের প্রতি ঈমান আনা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই এই গ্রন্থের জ্ঞান আয়ত্ব করাও জরুরি। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বয়েছেন, ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ। তাছাড়া, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যে পরিমাণ কুরআন শিক্ষার প্রয়োজন তা আমাদের শিক্ষা করা অত্যাবশ্যক।
আপনি যদি আরবি না জানেন, তবে শিক্ষার স্বার্থে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ দেখেই শিখতে পারেন। তবে শুদ্ধভাবে আয়াতটি তিলাওয়াতের চেষ্টা চলমান রাখবেন অবশ্যই। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আয়াতুল কুরসি ভিডিও আকারেও আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে।
আয়াতুল কুরসির ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না। এই আয়াতটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। তাই আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ দেখেই আয়াতটিকে আয়ত্বে রাখার চেষ্টা করুন। আয়াতুল কুরসির ফজিলত সম্পর্কে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।