স্বপ্নের ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?

ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার
Written by IQRA Bari

পেশাগতভাবে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার খুবই উন্নতমানের। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হতে চান তবে Web Design পেশাটি কেমন এবং এর ক্যারিয়ার সুযোগ সুবিধা কি তা আপনাকে জানতে হবে।

পৃথিবীতে এমন কোনো কোম্পানি নেই, যার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই। দেশি – বিদেশী সব কোম্পানিরই এক বা একাধিক ওয়েবসাইট আছে। আর কোম্পানিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্ট অনলাইনেই কোটি কোটি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে আবার ক্রেতারাও ঘরে বসে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র খুব সহজেই হাতে পাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, এখন দেখা প্রায় মানুষেরই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে অনেক ভাবেই ইনকাম করা যায়। আর যেটা সবার জন্য সহজতম বিষয়। ইকর্মাস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সেড এড বসিয়ে। আর সবকিছুর অগোচরে হলো একটি সুন্দর ডিজাইন কৃত ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ওয়েব ডিজাইন করা হয়।

ওয়েব ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন, ছবি ইত্যাদি আরো নানা ধরণের প্রোগ্রামিংয়ের প্রয়োজন। আর এই কাজগুলো সাধারণত সবাই করতে পারে না। একটা ওয়েবসাইটের পূর্ণতাদানে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপারের প্রয়োজন। কারণ, ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কোডিং প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন হয়। যেমন, HTML, CSS, JavaScript, ইত্যাদি।

আর এইগুলো একজন ওয়েব ডেভলপার ছাড়া সচারাচর সবাই পারে না। আর এজন্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরিতে দেশি – বিদেশী প্রোগ্রামারদের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে প্রায় জায়গায় সরকারি, বেসরকারি উদ্দোগ্যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার প্রতিষ্ঠান চালু আছে। যেগুলোতে তিন মাস / ছয় মাসের কোর্সের মাধ্যমে হাজার হাজার ছাত্র -ছাত্রীরা প্রোগ্রামিং শিখছে।

ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার অনেক সম্ভাবনাময়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। এদেশের আয়তনের দিক থেকে জনসংখ্যার হার অনেক বেশি। আর জনসংখ্যা অনুয়ায়ী বাংলাদেশে কর্মসংস্থান তেমন নেই। তাই এদেশের বেশীরভাগ মানুষ বেকারত্বের বোঝা বহন করে চলাফেরা করে।

উন্নত দেশগুলোতে কর্মসংস্থান অনেক বেশি। তাই বেকারত্বও কম। এজন্যই দেশগুলো অনেক উন্নত। প্রকৃত পক্ষে বলা যায় ‘যে দেশে বেকারত্ব নেই সেদেশ উন্নত হবেই।

স্যাটেলাইট যুগে বিদেশিদের মাঝে প্রায় মানুষই অনলাইন ভিত্তিক আর্নিং সোর্সকে বেছে নিয়েছে। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো আজ অনলাইনে ওয়েবসাইট বা সফটয়্যার দিয়ে কন্ট্রোল করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ভেসে আসে জেফ বেজোস, বিল গেটসের নাম। তাদেরও অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানি। যাইহোক, সেদিকে যেতে চাই না। ওয়েব ডিজাইন মোটামুটি কঠিন হলেও এর ফলাফল ভালো।

আমাদের দেশেও প্রায় দেখা যায় নবীণ কিশোর – কিশোরিরা আউটসোর্সিং, ফ্রিলান্সিং করছে ঘরে বসেই। এটা দারুণ একটা বিষয়। আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই।

অনলাইন কে ব্যবহার করে বাংলাদেশি মানুষের জন্য নতুন একটি কর্মসংস্থান হতে পারে ওয়েব ডিজাইন। আমরা দেখতে পারি দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়ছে ততই ওয়েবসাইটের সংখ্যাও বাড়ছে। আর ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েব ডিজাইনারের প্রয়োজন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ধরনের কাজ সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীলও বটে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইট লঞ্চ করা হচ্ছে। ওয়েব ডিজাইনাররা ওয়েবসাইট ডিজাইন, ই -কর্মাস তৈরি, মোবাইল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিন তৈরি করে ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়ে নিজেদের ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার গুছিয়ে নিয়েছে।

এভাবেেই যত দিন পার হচ্ছে ততই ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা বেড়েই চলছে। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে আর বসে না থেকে এখন থেকেই কাজ শেখা শুরু করে দিন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!