দোয়েল হলো বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। এজন্য প্রাইমারি শিক্ষার্থী বা চাকরি ভাইভার লিখিত পরীক্ষায় দোয়েল পাখি সম্পর্কে প্রায়শই প্রশ্ন থাকে। বলা হতে পারে দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য বাংলায় লিখ।
দোয়েল পাখি সম্পর্কে সাধারণ তথ্য হলো – এরা দেখতে ছোট, সুন্দর ও কোমল পাখি। এদের দেহের আকার প্রায় ১৫-১৬ সেন্টিমিটার। এদের পালক ধূসর, বাদামী ও সাদা রঙের হয়। এদের ঠোঁট লম্বা ও সরু। এদের পা ছোট ও শক্ত।
দোয়েল পাখি সাধারণত জঙ্গল, বন, ঝোপঝাড় ও কৃষিজমিতে বাস করে। এরা বিভিন্ন বীজ, ফল ও কীটপতঙ্গ খেয়ে জীবনধারণ করে। দোয়েল পাখি খুবই গানপ্রিয়। এরা সুমধুর সুরে গান গায়। এরা খুবই শান্ত ও নিরীহ পাখি। এরা মানুষের সাথে সহজেই মিশে যেতে পারে।
দোয়েল পাখির প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুলাই। এরা সাধারণত গাছের প্রাকৃতিক খোঁড়লে বা ঝোপঝাড়ে বাসা বাঁধে। স্ত্রী দোয়েল ২-৩টি ডিম পাড়ে। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমে তা দেয়। ৮ থেকে ১৬ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
১. দোয়েল হলো বাংলাদেশের জাতীয় পাখি।
২. দোয়েল পাখি দেখতে ছোট, সুন্দর ও কোমল।
৩. দোয়েল পাখির পালক ধূসর, বাদামী ও সাদা রঙের হয়।
৪. দোয়েল পাখির দেহের আকার প্রায় ১৫-১৬ সেন্টিমিটার।
৫. দোয়েল পাখির ঠোঁট লম্বা ও সরু।
৬. দোয়েল পাখির পা ছোট ও শক্ত।
৭. দোয়েল পাখি সাধারণত জঙ্গল, বন, ঝোপঝাড় ও কৃষিজমিতে বাস করে।
৮. দোয়েল পাখি বীজ, ফল ও কীটপতঙ্গ খেয়ে জীবনধারণ করে।
৯. দোয়েল পাখি প্রজনন মৌসুমে ডিম পাড়ে।
১০. দোয়েল পাখির ডিমের সংখ্যা সাধারণত ২-৩টি।
দোয়েল পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরা কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশকে সুস্থ রাখে। এরা মানুষের মনোরঞ্জন করে। এরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ।
দোয়েল পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর কারণ হলো, বন উজাড়, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা, কীটনাশক ব্যবহার ইত্যাদি। তাই দোয়েল পাখির সংরক্ষণের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।