পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য আপনাকে না জানলেই নয়। কারণ, পাহাড়পুর বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে।
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বৌদ্ধ বিহারটি তৈরি করছিলেন বলে জানা যায়। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের কাছে অতি বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাদানের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয়েছিল।
প্রাচীন এই বৌদ্ধ বিহারটি সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ইতিহাস রচনা হয়েছে। পাহাড়পুর মূলত বৌদ্ধ বিহারটির জন্যই বিখ্যাত রূপে মানুষের কাছে পরিচিত। পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে ১০টি বাক্য নিচে উপস্থাপন করা হলো।
পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য
১. পাহাড়পুর বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
২. পাহাড়পুরে একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার রয়েছে।
৩. পাহাড়পুরের বিহারটি পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে বিহারটি নির্মাণ করেন।
৪. পাহাড়পুর বিহারের আয়তন দক্ষিণ-উত্তর ৩৫৭ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিম ৩১৪ ফুট।
৫. পাহাড়পুর বিহারের স্থাপত্যে বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যরীতির নিদর্শন পাওয়া যায়।
৬. পাহাড়পুর বিহারটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল।
৭. ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন।
৮. ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
৯. পাহাড়পুর বিহারের শিল্পকর্মে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব লক্ষণীয়।
১০. পাহাড়পুর বিহার বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত বৌদ্ধ বিহারটি বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যরীতির বিভিন্ন নিদর্শন বহন করে। এটি দেশি-বিদেশি মানুষের কাছে পছন্দের পর্যটন কেন্দ্রও বটে।
এটি বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। আবার এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় ভ্রমণ খাতে এর বিশেষ অবদানও রয়েছে। আমাদের উচিত, বিহারের সুরক্ষা ও পরিস্কার -পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।